বেলাগাঁওয়ের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ এখন দুর্ভোগে!

বেলাগাঁওয়ের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ এখন দুর্ভোগে!


নিজস্ব প্রতিবেদক::

মৌলভীবাজারের অন্যতম জুড়ী নদী। নদীর পাড়েই বেলাগাঁও গ্রাম। ঐ গ্রামের মানুষেট যাতায়াতের রাস্তা হলো নদীট পাড়। গত কয়েকবছর থেকে নদী ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বেলাগাঁও গ্রামের পূর্ব পাড়ের রাস্তা। ফলে ৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে ঘটছে বিঘ্ন। নদীতে ধ্বসে পড়ার কারনে ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক ঘরবাড়ী।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিবছর বর্ষাকালে উজান থেকে নেমে আসা ঢল নদীস্রোতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিলে এবং বন্যার কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ধ্বসে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এই অবস্থায় এলাকার লোকজন মিলে প্রতিবছর তাঁদের নিজ অর্থায়নে নৌকাযোগে মাটি ভরাট করে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেন।

এ রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিবছর হাকালুকি হাওর থেকে ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকেন জুড়ীর অধিকাংশ কৃষক।

অন্যান্য বছরের মত এবারও শীতকালে তাঁদের নিজ অর্থায়ন ও পরিশ্রমে মাটি ভরাট করে রাস্তাটি সংস্কার করলে, নদীস্রোত বেড়ে যাওয়ায় গত ৪/৫ দিন থেকে রাস্তার বিভিন্ন অংশ নদীতে ধ্বসে পড়তে শুরু করে। রাস্তার কোনো-কোনো অংশের পুরোটাই নদীতে ধ্বসে গেছে। রাস্তাটির আরো অনেক জায়গায় ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এতে যাতায়াত ও নদীর কিনারে থাকা বেশ কয়েকটি ঘড়ীঘর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।


শুক্রবার (২৯ মে) সকালে গ্রামের বাসিন্দা কামাল আহমেদ ও হাবিব চৌধূরীর সাথে কথা হয়। তারা বলেন, যে রাস্তা দিয়ে কয়েকদিন আগেও আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতাম সেই রাস্তা আজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখম মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছি। এই রাস্তাটি যদিও আমরা নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করেছি কিন্তু এই অসময়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, আমি গতকাল সারাদিন ঐ জায়গায় ছিলাম। সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। এই মূহুর্তে সরকারিভাবে পারা যাচ্ছে না। তাই আমি নিজ থেকেই আজকে কিছু বস্তা ক্রয়ের জন্য পাঠিয়েছি। যাতে আপাতত এই বস্তা গুলোর ভেতরে রাবিশ দিয়ে ভাঙ্গনে দেয়া যায়। যাতে কিছুটা হলেও ভাঙ্গণ রোধ হয়।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দুইজন ইঞ্জিনিয়ারকে জুড়ীতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে তারা পরিদর্শন করে মাপ নিয়ে আসবে। আমরা ডিজাইন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করে দিবো।

তিনি বলেন, বর্ষাকালে তো স্থায়ী কাজ করা যায় না তাই আপাতত যাতে ভাঙ্গন রোধ করা যায়। সে ব্যবস্থা নিবো।

জুড়ীর সময়/ডেস্ক