আমরা ক্ষমতায় আছি বলে পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করে---আহমদ হোসেন


মৌলভীবাজার:

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, এখন পুলিশ বাড়িতে
গিয়ে কি এরেস্ট করে। আমাদের নেতাকর্মীরা কি গুলি করে মারা যায়। কারন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী। তাই সাবাই সুখে আছো, সবাই ভালো। পুলিশ বাহিনী এখন তোমাদের পাহারা
দেয়। কিন্তু এই পুলিশ বাহিনীর পেটা যে কথো খাইছি, কতবার যে গ্রেফতার হইছি এটা কি
তোমরা জানো। আজকে আমরা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আছি বলে পুলিশ বাহিনী আমাদের
সহযোগিতা করে, তারা তোমাদের আদর করে। যদি আদর পেতে চাও তাহলে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর সোমবার (২ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার সদর আওয়ামীলীগের সম্মেলনে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

দুপুরে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সাধারণ
সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান ও কামাল হোসেন প্রমূখ।

সম্মেলন চলাকালীন সময়ে প্রথম অধিবেশনে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। স্লোগান
দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল
হোসেনের বলয়ের দুটি গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
হয়। এসময় এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ার ছোড়ে মারে।
এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সম্মেলন স্থলের জানালার গ্লাস ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মারামারি করে নেতা হওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি
অভিযানের কবলে তোমরা পড়ো না। নজর পড়লে তোমাদেরও কপাল পুড়ে যাবে।
উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেখোনা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও
সেক্রেটারির কপাল পুড়েছে। কাজেই শুদ্ধি অভিযানের কবলে তোমরা পড়ো না, তোমরা টার্গেট
হয়ো না। আমরা দলীয়ভাবে যেমন শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছি। রাষ্ট্রিয়ভাবেও তা শুরু হয়েছে। তাই
পার্টির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, কোন দূর্নীতিবাজ ও খুনি এই কমিটিতে আসতে
পারবে না। এটা পরিস্কার কথা। এখানে রাগ করবেন, ঘোষা করবেন আমাদের কিছু যায় আসে না।
এটা পধানমন্ত্রীর নির্দেশ।

প্রধান অতিথি আরে বলেন, বর্তমানে চোরের পার্টির সভাপতি খালেদা জিয়া। মহা চুর, চুরি
করে এখন সে কারাগারে। তার দুই ছেলে। একটা মারা গেছে, এইটাও আরেকটা চোর। আরেকটা
হলো লুটেরা তারেইক্কা। সে নাকি লন্ডন থেকে দেশ চালায়। এই মৌলভীবারের যুবকদের সাথে সে

লড়াই করে পার পাবে না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে অপশক্তির বিরোদ্ধে লড়াই করা। এই অপশক্তির নাম
বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে আপদ, বিপদ, গজব আর গুজব। তাই এদের কাছ থেকে দেশের মানুষ
পরিত্রাণ চায়, মুক্তি চায়। তাদের মোকাবিলা করার জন্য তোমরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়।