উদ্বোধন হলো 'প্রবীণাঙ্গণ'


সাইফুল্লাহ হাসান||
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে অনেক কিছু হচ্ছে। সরকারের ১১ বছরে দেশের সকল জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরে দাড়িয়েছে।

মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে জ্যৈষ্ঠ নাগরিকদের জন্য নির্মিত প্রবীণাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৯২ ভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে সরকার। কিন্তু এই পরিবর্তন একটি রাজনৈতিক দল স্বীকার করছে না। এই পরিবর্তন তাদের চোখে পড়ে না। আরেকটি রাজনৈতিক দল দেশে জঙ্গিদের কায়দায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা দেশে জঙ্গিবাদ বিস্তার করছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে মেয়র মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মল্লিকা দে, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান প্রমখ।

প্রধান অতিথি আরোও বলেন, এখানকার (প্রবীণাঙ্গন) যে সুবিধা অনেকটা ভালো উদ্যোগ। শহরের বেরী লেইককে হাতিরজিলের আদলে করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তিনি বলেন।

মৌলভীবাজারে মেডিকেলের দাবির বিষয়ে বলেন, পর্যায়ক্রমে মেডিকেল কলেজ হবে। সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করব।

সুধী সমাবেশের আগে মন্ত্রী পৌর প্রবীণাঙ্গন ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন। সাথে সম্পূর্ণ স্থানটি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। পরে দুটি গাছের চারাও এই প্রবীণাঙ্গনে রোপণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আইনশূংখলা বাহিনীর সদস্য, জেলার প্রবীণ নাগরিক, আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ের অনুদান নিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আড্ডা ও বিনোদনের নানা উপকরণ দিয়ে সাজিয়ে তৈরী করা হয়েছে এ ‘প্রবীণাঙ্গণ’। স্থানটিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা সকাল ও বিকেলে এখানে এসে ঘুরে, আড্ডা দিয়ে, বই পড়ে, খেলাধুলা করে সময় কাটাতে পারেন। স্থানটিকে বেশ কয়েক জাতের ফুল।

তিনটি কক্ষকে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। একটি কক্ষের মধ্যে থাকবে পাঠাগার। এতে সবধরনের বই থাকবে। থাকবে টেলিভিশনও।  অন্য একটি কক্ষে থাকবে বিশ্রামের জন্য। এতে দুটি শয্যা থাকবে। বয়স্ক নাগরিকরা হাঁটাচলা ও খেলাধুলা করে ক্লান্ত হলে এখানে বিশ্রাম নিবেন। বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের জন্য থাকবে একটি কক্ষ। এই কক্ষে নারীরা বিশ্রাম নিবেন, আড্ডা দিবেন। এর বাইরে তিনটি শেড স্থাপন করা হয়েছে। এতে বেঞ্চ থাকবে। যাতে ওখানে বসে আড্ডা দেওয়া যায়। এছাড়া মুক্ত স্থানে আছে বসার বেঞ্চ। যার যেখানে খুশি বসতে পারবেন, সময় কাটাতে পারবেন। থাকবে পত্রিকা পড়ার কর্ণার। কফি-চা কর্ণারও থাকবে।

ভোর থেকে সকাল ৯টা এবং বিকেল চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানটি উন্মুক্ত রাখা হবে। নতুন করে সাজানো অংশটি জনমিলন কেন্দ্রের মূল ভবন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানাদি হলেও এখানকার আড্ডায় কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়।